মৌলভীবাজার জেলায় সড়ক ও জনপথ, এলজিডির রাস্থা, ব্রিজ, কালভার্ট বন্যায় ভেঙ্গে গেলেও সংস্কার হচ্ছে ধীর গতিতে। আগামি ঈদুল আজহার পূর্বে সারাদেশের রাস্তাগুলো সংস্কারের নির্দেশ থাকলেও মৌলভীবাজার জেলাবাসীর আশঙ্কা ঈদুল আজহার পূর্বে তা কার্যকর করা সম্ভব হবে না। ঈদে বাড়িতে আসা শহরতলী মানুষের দুভোর্গ চরম আকার ধারণ করবে।
এলজিডি, সড়ক ও জনপথের কর্তৃপক্ষ বলছেন অতি জরুরী রাস্তাগুলো মেরামত করা হয়েছে। বাকীগুলো প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছে। মৌলভীবাজারের কয়েকদিনে অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানিতে বিভিন্ন উপজেলায় এলজিইডি, সড়ক ও জনপথের বেশ কয়েক কিলোমিটার রাস্তা ও ব্রিজ কালর্ভাটের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সড়ক ও জনপথের তেমন ক্ষতি না হলেও এলজিইডি গ্রামীন জনপদের অবস্থা বেশ নাজুক। অনেক রাস্তা, ব্রিজ কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়াও নিয়মিত রক্ষানাবেক্ষনের অভাবে মৌলভীবাজার শহর সহ উপজেলার জনপদগুলোর রাস্তা প্রায় চলাচলের
অযোগ্য হয়ে পড়েছে। জেলার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার মধ্যে রয়েছে মৌলভীবাজার, কুলাউড়া, রাজনগর, শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ ও শমসেরনগরের সড়ক গুলো।
এই সড়কগুলো দীর্ঘদিন যাবৎ রক্ষনাবেক্ষন না করার কারণে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে সামান্য বৃষ্টির পানি জমে প্রায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে প্রায় সময়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপদ সূত্রে জানা যায়, তাদের আওতাধীন প্রায় ৩৪২ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে বর্তমান বন্যায় খুব সামান্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বন্যায় প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। দীর্ঘদিন রক্ষানাবেক্ষন না করার কারণে কিছু কিছু রাস্তায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
এর মধ্যে মৌলভীবাজার-কমলগঞ্জ ও শমসেরনগর সড়ক। সূত্র জানায়, মৌলভীবাজার-কমলগঞ্জ ও শমসেরনগর সড়কে কাজের জন্য আগের একটি টেন্ডার আহবান করে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও তারা কাজের উপযুক্ত না হওয়ায় ওই টেন্ডার বাতিল করে আবার নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে ওই সড়কে কাজ শুরু হবে। এছাড়াও প্রকল্পের আওতায় ৪টি সড়কের ৯৭ কিলোমিটারের উন্নয়ন কাজ চলছে। কুলাউড়া, শমসেরনগর, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার, শমসেরনগর চাতলাপুর সড়ক, জুড়ী ফুলতলা সড়ক ও কুলাউড়া পৃথিমপাশা সড়কের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে এ কাজগুলো সমাপ্ত হবে। সরকারী বরাদ্ধ কম থাকায় অনেক রাস্তার কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।
এলজিইডি সিনিয়র সহকারী ইঞ্জিনিয়ার মো: ইব্রাহিম মিয়া বলেন, জেলায় পাকা রাস্তার পরিমাণ ১৭শ কিলোমিটার। এর মধ্যে এবারের বন্যায় প্রায় ৩৩ কিলোমিটার রাস্তা, ১৫ টি ব্রিজ কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যা টাকার অর্থে ক্ষতির পরিমান ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকারও বেশী। অতি জরুরী কিছু রাস্তায় ৮-৯ লাখ টাকা ব্যায় সংস্কার কাজ হয়ে গেছে। বাকীটুকু টেন্ডার হয়ে গেছে কিছু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অতি সত্তর ক্ষতিগ্রস্থ সড়কের কাজ শুরু হবে। সড়ক ও জনপথের উপ-প্রকৌশলী রাশেদুল হক বলেন, মৌলভীবাজার জেলায় তাদের অধীনে ৩৪২ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। তার মধ্যে ভাঙ্গা রাস্তার পরিমান ৪৫কিলোমিটার। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৩কিলোমিটার, টাকার অংকে প্রায় ৩কোটি টাকা। কিছু কিছু রাস্তার কাজ হয়ে গেছে। বাকী গুলোর টেন্ডার হয়ে গেছে কিছু প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছে।