কাশ্মীরের ৩ মাসের খাদ্য মজুদ, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চিন্তা নেই
অঙ্গরাজ্যের মর্যাদা খোয়ানোর পর কাশ্মীর উপত্যকা রাজনৈতিকভাবে যে একেবারে ঠান্ডা হয়ে যাবে, সে বিষয়ে নিশ্চিত নন কেউই৷ পাল্টা প্রতিরোধে আশঙ্কায় তাই আগেই প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে কেন্দ্র৷ দফায় দফায় প্রচুর সংখ্যক সেনা মোতায়েন করা হয়েছে সেখানে৷ তা সত্ত্বেও কোনও কারণে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি তৈরি হলেও কোনও সমস্যা নেই৷ উচ্চপদস্থ এক সেনা অধিনায়ক জানিয়েছেন, আগামী ৩ মাসের জন্য কাশ্মীরিদের পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত আছে৷ তাই যুদ্ধের আবহেও চিন্তার কিছু নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি৷
শ্রীনগরের প্ল্যানিং কমিশনার রোহিত কানসালের কথায়, ‘পর্যাপ্ত খাবার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মজুত করা হয়েছে৷ তা উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় বণ্টনের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে৷ চাল, গম, মাংস, ডিম, জ্বালানি সবই ৩ মাসের জন্য মজুত৷ কোথাও কোনও অভাব হবে না৷ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় কোনও ছেদ পড়বে না৷’ তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘সরকারের তরফে সাধারণ নাগরিকদের কাছে একটাই আবেদন, আপনারা শান্তি বজায় রাখুন৷ আপনাদের সুরক্ষায় অনেক সেনা মোতায়েন করা হয়েছে৷ কোনও সমস্যা হবে না৷’
যদিও অনেকেই মনে করছেন, এভাবে কেন্দ্রের একতরফা সিদ্ধান্তে কাশ্মীর উপত্যকায় যুদ্ধের আবহ তৈরি হতে পারে৷ আর সেই আশঙ্কা দমন করে সাধারণ মানুষকে নিশ্চিন্ত করতেই বারবার সেনা প্রশাসন এই আশ্বাসই দিচ্ছে, যুদ্ধ হলেও দৈনন্দিন জীবনযাপনে কোনও প্রভাব পড়বে না৷ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্পষ্ট বলেছেন, ‘কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, এবং তাইই থাকবে৷