দলে ‘রোটেশন পদ্ধতি’ চান সাকিব
দর্শকদের মনে হয়তো এখন প্রশ্ন কি হলো টাইগারদের। বাংলার ছেলেদের সেই চিরচেনা রুপ আবার কবে দেখবেন তারা, হয়তো প্রশ্ন এখন টাইগার ভক্তদের। গেল তিন ম্যাচেই শ্রীলংকার বিপক্ষের হার সত্যিই হতাশার তৈরি করেছে অনেকের মাঝে। আর এমতাবস্থায় দেশের ক্রিকেটের উন্নতি এবং রিজার্ভ বেঞ্চ শক্তিশালী করতে রোটেশন পদ্ধতির কথা বললেন সাকিব আল হাসান।
সাকিব বলেন, একজন খেলোয়াড় সবসময় খেলতে পারবে না, তার বিশ্রাম প্রয়োজন। তখন দু’পক্ষ থেকেই দায়িত্ব নিতে হবে। যখন কোন খেলোয়াড় বলবে আমার বিরতি নেয়া উচিত বা কোচিং স্টাফ থেকে বলছে, তোমার এই ছুটি নেয়া উচিত। তখন সবারই সেটা বোঝা উচিত।
তিনি বলেন, ভারতের একটা ভালো উদাহরণ দিতে পারি আমি। গেল বছর কম চোটে পড়েছে ভারতের খেলোয়াড়েরা। এর বড় কারণ হলো, তারা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে তাদের খেলোয়াড়কে খেলিয়েছে। এটাতে যা হয়েছে, তাদের অনেক খেলোয়াড় তৈরি হয়েছে। অনেকে খেলোয়াড় পরিচিতি পেয়েছে। রোটেশন পদ্ধতির কারণে ভারতের খেলোয়াড়রা ফুরফুরা মেজাজে খেলতে পেরেছে। যা থেকে দল উপকৃত হচ্ছে।
সাকিব বলেন, বিশ্রাম শেষে ফিরে তাদের খেলোয়াড়রা ফুরফুরে মেজাজে খেলতে পেরেছে এবং ভালো করতে পেরেছে। দেখা গেছে, বিরাট কোহলিসহ সবাইকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে সব ফরম্যাটেই।
রোটেশন পদ্ধতির কারণে পাইপলাইনের অনেক খেলোয়াড়কে সুযোগও দেয়া যায় বলে জানান সাকিব, যখন খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেয়া হবে, তখন অনেক খেলোয়াড়কে সুযোগ দেয়া যাবে এবং পাইপলাইন থেকে খেলোয়াড় বের হবে। তাই আমাদের এ ধরনের বড় পরিকল্পনায় যেতে হবে।
বিশ্বকাপ চলাকালীনও ইনজুরিতে পড়তে হয়েছে বাংলাদেশের বেশ ক’জন খেলোয়াড়কে। ইনজুরি নিয়েও অনেকে খেলেছেন। কারণ তাদের বিকল্প হিসেবে কেউ খেললেও সেভাবে পারফরমেন্স করতে পারেননি। তাই বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে হলে সকলের সমন্বয়ে কাজ করতে হবে বলে মনে করেন সাকিব।
তিনি বলেন, যদি আমরা কিছু করতে চাই, তবে কোচিং স্টাফ, বোর্ড ও খেলোয়াড়দের মধ্যে খুব ভালো একটা সমন্বয় গড়তে হবে। তা না হলে এটা নিয়ে অনেক সমালোচনা তৈরি বা নেতিবাচক কথা তৈরি হবে।
সাকিবের আশা, বিসিবি আগামী তিন-চার বছরের জন্য নতুন পরিকল্পনা সাজাবে। তিনি বলেন, আমরা ইতিমধ্যে দু’জন প্রশিক্ষক নিয়োগ দিয়েছি এবং তারা সবাই একত্রিতও হয়েছেন। এতে বিসিবি তাদের কৌশল পেশ করতে পারে। আমরা যদি এক সাথে কাজ করতে পারি, তবে আমার মনে হয়- গেল চার বছর আমাদের ক্রিকেট যেমন এগিয়েছিলো, ঠিক সেভাবেই এগিয়ে যেতে পারবে।