অবসরের অপেক্ষা শুধু বাড়ছে
যারা একসময় ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের হিরো। বর্তমানে তারা খেলছেন ঘরোয়া লিগে। সেখানে ভালো করলেও ফেরা হয়নি আর জাতীয় দলে। তবে সাবেক না হয়েও গায়ে তকমা লেগে গেছে সাবেকের। তাই সুযোগও মিলছে না আন্তর্জাতিকভাবে ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়া।
চাইলেই কি ক্রিকেট ভক্তরা শাহরিয়ার নাফিসকে ভুলে যেতে পারবে? অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফতুল্লায় সেই টেস্ট সেঞ্চুরি। কিংবা রঙিন পোশাকে তার ভয়ঙ্কর ব্যাটিং। একটা সময় শাহরিয়ার নাফিসকে বলা হত রানের মেশিন। কিংবা ভাবা হতো টাইগারদের পরবর্তী ক্যাপ্টেন। ক্যাপ্টেন্সি ভাবা আপাতদৃষ্টিতে দূরে থাক কিন্তু আট বছর হয়ে গেছে বাঁহাতি এই ওপেনার এখনও খুলতে পারেনি ওয়ানডে দলের দরজা। আর প্রায় দীর্ঘ ৬ বছর ধরে টেস্ট স্কোয়াডেও নাম নেই তার। টি-টোয়েন্টির গল্প তো আরও পুরোন।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের টুপি হারিয়েছেন আরেক সিনিয়র ক্রিকেটার আব্দুর রাজ্জাক রাজ। বাংলাদেশ ক্রিকেটের চেনা বামন। একজন রাজ্জাকই ছিলেন লিমিটেড ওভার উইকেটে টাইগারদের মেইন স্পিনার। সাকিব দলে থাকার পরও বাঁহাতি এই বোলার জাতীয় দলে ছিলেন নিয়মিত। তবে এখন বয়সের সাথে বলের দার কমেছে। তাই চাহিদাও কমেছে তার। গেল বছর একটা টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন কিন্তু হালে পানি পাননি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে এখনো রাজ্জাক ঘূর্ণিতে মাথা ঘুরছে ব্যাটসম্যানদের।
রাজ্জাকের পথের আর এক পথিক তুষার ইমরান। সর্বশেষ ২০০৭ সালে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন টেস্ট আর ওয়ানডে। ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে করেছে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার রানের কীর্তি। ডোমেস্টিক সার্কিটে রান বন্যার পরেও তুষার ইমরানের পারফরম্যান্স মোটেও বোর্ডের আমলে আসেনি। টেস্ট ক্রিকেটে এখনও দুর্বল টিম টাইগাররা। তারপরও জাতীয় দলে একটি বারের জন্য তুষার ইমরানের ডাক পড়েনি।
এনামুল হক জুনিয়ার লিমিডেট অভার্সের চেয়ে সাদা পোশাকে টাইগারদের হয়ে খেলেছেন বেশি। ছিলেন প্রথম টেস্ট জয়ের নায়ক। তবে নিজের সেই ছন্দ আর ধরে রাখতে পারেননি। ৬ বছর আগে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন তিনি। তবে জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন এখনো বুনেন কিন্তু টাইগার ক্রিকেটের চিন্তার লিস্ট থেকে হারিয়ে গেছে এনামুল হক জুনিয়র নামটি।