আমি আড়াই মাসের অন্তঃসত্ত্বা, কে বিয়ে করবে আমাকে
পঞ্চগড় সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডুডুমারি গ্রামে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী একই গ্রামে প্রেমিকের বাড়িতে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বিয়ে ও পিতৃ পরিচয়ের দাবীতে অনশন করেছে।
এ নিয়ে ঐ এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ঐ অন্তসত্মা প্রেমিকাকে বাড়িতে রেখে প্রেমিক ও তার পরিবার বাড়ি থেকে উধাও হয়েছে। কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী সাংবাদিকদের জানান আমি গত সাত বছর পূর্ব হতে আমার প্রতিবেশি জহিরুল ইসলাম এর ছেলে মিজানুর রহমান ওরফে মিন্টু (২৫)এর সাথে প্রেমের সর্ম্পকে জড়িয়ে পড়েছিলাম, গত দুই বছর হতে সে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক দফা দৈহিক মেলামেশা করেছে।
একথা শুনে আমি আমার সর্ম্পকের কথা প্রতিবেশি ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম কে জানাই। কিন্তু কিছুতেই মিন্টু বিয়েতে রাজি না হওয়ায় শুক্রবার সন্ধ্যায় আমি মিন্টুর বাসায় এসেছি। মিন্টুর বাসায় আসার পরক্ষনেই তার পরিবার আমাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে রক্তাক্ত করে বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আমার আড়াই মাসের সন্তান গর্ভে এখন আমাকে বিয়ে করবে কে? প্রেমিক মিন্টুর পিতা জহিরুল সাংবাদিকদের জানান মেয়েটির স্বাস্থ্য পরিক্ষার পর যদি প্রমাণ হয় আমার ছেলের কারনেই মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা তবেই আমি মিন্টুর সাথে বিয়ে দিবো।
এদিকে প্রেমিকার বাবা এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমার মেয়ের যে সর্বনাশ করেছে এখন আমার সেই মেয়েকে মিন্টু বিয়ে না করলে মেয়েটিকে ফেরত নিয়ে কি করবো? আমার মেয়ে অন্তসত্মা আমি নজরুল মেম্বারকে সব জানিয়েছি আমি ন্যায়বিচার এর জন্য আইনের আশ্রয় নিবো যদি মিন্টু বিয়ে না করে। সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নজরুল এর সাথে সাংবাদিকরা কথা বললে তিনি বলেন আমি এবং আমার ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি নিয়ে গতকাল ছেলে ও মেয়ের পরিবার কে নিয়ে স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেস্টা করেছি কিন্তু দুপক্ষই তাদের দাবীতে অনড় থাকায় সম্ভব হয়নি।
পঞ্চগড় সদর ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম এর সাথে ঘটনার বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে পরিষদে মিমাংসার চেষ্টা করা হলে মিন্টু সেই মেয়েকে বিয়ে করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় এজন্য দু’পক্ষকে আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি।