মিয়ানমারের জনসংখ্যা ৫ কোটি ২০ লাখের মধ্যে এইচআইভি বা এইডস নিয়ে বসবাসকারী ২ লাখ ৩০ হাজার বলে তথ্য আছে জাতিসংঘের এইডসবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইডসের কাছে। এ হিসাবে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ১০ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে এইচআইভি বা এইডস নিয়ে বসবাসকারী রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪ হাজার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ও চিকিৎসক আয়েশা আক্তার এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে একজন হিজড়াও রয়েছে। এ হিসাব ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে ২০১৯ সালের ২২ আগস্ট পর্যন্ত।
ইউএনএইডসের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ২০১৬ সালে বাংলাদেশে নতুনভাবে দেড় হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছিল, মিয়ানমারে ১১ হাজার।
২০১৭ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে যে হারে রোহিঙ্গা এইডস রোগী সনাক্ত হতো, এখন সেই হারে হচ্ছে না। তখন প্রতিদিনই ৫ থেকে ১০ জন সনাক্ত হতো। এর মধ্যে কেউ কেউ মিয়ানমারে থাকতেই এতে আক্রান্ত ছিলেন, কেউ বাংলাদেশে এসে আক্রান্ত হয়েছেন। ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে ২০১৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ১৪০ জনকে সনাক্ত করা হয়েছিল। সরকারের আশঙ্কা ছিল- রোহিঙ্গা শিবিরের আশপাশে বসবাসরত স্থানীয় বাংলাদেশিদের নিয়ে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের এইচআইভি/এইডসের বিষয়ে বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে। তথ্য সূত্র: অনলাইন।