জম্মু-কাশ্মীরের মর্যাদা বিলোপ করে বিল পাস, নতুন দুটি কেন্দ্র গঠন
অবশেষে জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিল করল ভারত সরকার। একইসঙ্গে বাতিল হল ৩৭০ ধারার অন্তর্গত ৩৫এ ধারাও। ১৯৪৭ সালে এই ধারার খসড়া তৈরি করেছিলেন সেখ আবদুল্লা। সংবিধানের ১১ নম্বর অংশে কিছু অস্থায়ী ব্যবস্থার কথা বলা রয়েছে। সেই ক্ষমতা বলেই তৈরি হয় ৩৭০ ধারা। ১৯৫৪ সালে রাষ্ট্রপতির নির্দেশে ধারাটি ৩৭০-এ ঢোকানো হয় সংবিধানে।
আজ মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ভারতের লোকসভায় জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা বিলোপ করে বিল পাস হয়েছে। সেই সাথে জম্মু কাশ্মীর ও লাদাখ নামে নতুন দুটি কেন্দ্র গঠন করা হয়েছে।
কয়েকদিন ধরে জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে উত্তেজনার পারদ যেভাবে চড়ছিল তা থেকে অনুমান করা গিয়েছিল বড় কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে মোদী সরকার। রবিবার ও সোমবার বেশ কয়েক দফা উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের শেষে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়েছে। এর পরই সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছেন, জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলে নিয়েছে ভারত সরকার।
এই ধারায় জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ স্বশাসিত মর্যাদা দেওয়ার উল্লেখ ছিল। এই ধারা অনুযায়ী, প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, যোগাযোগ-সহ কিছু বিষয় ছাড়া যেকোনও আইন জম্মু-কাশ্মীরে প্রয়োগ করতে সংসদকে জম্মু-কাশ্মীর সরকারের সম্মতি নিতে হতো। নাগরিকত্ব, সম্পত্তির মালিকানা ও নাগরিক অধিকার সম্বন্ধীয় বিষয়ে রাজ্যের বাসিন্দারা পৃথক আইনের আওতায় ছিলেন। ভারতের অন্যান্য রাজ্যের বাসিন্দারা সেই আইনের আওতায় ছিলেন না।
এই ধারা অনুযায়ী, জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতীয় সংবিধান পুরোপুরি মানতে হতো না। জম্মু-কাশ্মীরের নিজস্ব পৃথক সংবিধান ছিল। আইনের এই ধারায় বলা ছিল, কাশ্মীরের মানুষই কাশ্মীরে জমি কিনতে পারবেন। ভারতের অন্য রাজ্যের মানুষ জম্মু-কাশ্মীরে কোনও সম্পত্তি কিনতে পারতেন না। কেন্দ্রীয় সরকার কোনও রকম আর্থিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারবে না। একমাত্র যুদ্ধ হলে ও শত্রুরাষ্ট্র আগ্রাসী পদক্ষেপ নিলেই কেন্দ্র জরুরি অবস্থা জারি করার অধিকারী ছিল।