সেপ্টেম্বর থেকে আগুন ছড়ানো পেঁয়াজের দাম এখনও কমেনি। বিশ্বের বাজারে রেকর্ড করা এই দাম নিয়ে যেমন ক্রেতারা বিপদে সরকারও অস্বস্তিতে। এর আগে দাম কমবে বলেও ঘোষণা দিলেও এবার বাণিজ্যমন্ত্রীই বললেন, দাম কমানোর কথা বলা মুশকিল।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সংসদের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কবে কমবে তা বলা মুশকিল। তবে পেঁয়াজ উৎপাদন ব্যহত না হলে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ নাগাদ দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’
দামবৃদ্ধির জন্য ভারতকে দায়ী করে মন্ত্রী বরেন, ‘আমাদের এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে ভারত আকস্মিকভাবে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করায়। মহারাষ্ট্রের নির্বাচন সামনে রেখে ভারত আকস্মিকভাবে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। এ জন্যই এ অবস্থা হয়েছে।’
টিপু মুনশি বলেন, ‘পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এরইমধ্যে মিসর, আজারবাইজান, পাকিস্তান ও উজবেকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। প্লেনে ২৫০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ আমদানি করে আমরা ৪৫ টাকা দরে মানুষকে খাওয়াচ্ছি।’
কমিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের বর্তমান চাহিদা, দাম, আগামী সময়ের চাহিদা নিরূপণের জন্য পণ্য দ্রব্যের আমদানিকারকদের সাথে মন্ত্রণালয় বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেয়।
কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমদের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ছাড়াও ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, মোহাম্মদ হাছান ইমাম খান, সেলিম আলতাফ জর্জ এবং সুলতানা নাদিরা অংশ নেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।