আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আওয়ামী লীগ তিন দিনব্যাপী কর্সসূচি পালন করবে। এই কর্মসীচি আগামী ৩১ জুলাই থেকে সারাদেশব্যাপী শুরু হবে। পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হবে এবং লিফলেট বিতরণ করা হবে। তিনি বলেছেন, ‘সরকার ডেঙ্গু প্রতিরোধ এবং বন্যাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ অনতিক্রম নয়। আমরা সমন্বিতভাবে চেষ্টা করে ডেঙ্গুকে প্রতিরোধ করবো এবং বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনবো।’
সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকরা মেয়র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অতিকথনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজ করতে গেলে অনেক সময় দু-এক কথা এদিক সেদিক হয়ে যায়। এটা ক্ষমা সুন্দর ভাবেই দেখা ভাল। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের মেয়রগণ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে ডেঙ্গ জ্বরের প্রাদুর্ভাব কমানোর লক্ষ্যে। মানুষ মাত্রই ভুল করে। হয়ত কাজের চাপে কথাবার্তায় স্লিপ হয়ে যেতে পারে।
আর এক সাংবাদিক প্রশ্ন রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদকের কাছে, যেকোনও বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কথা না বলা পর্যন্ত প্রশাসন নিষ্ক্রিয় থাকে কেন? এর জবাবে কাদের বলেন, দেশে যেকোনও জরুরি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেন, এবারও বলেছেন। এটাই স্বাভাবিক। তার কথা সবাইকে উৎসাহিত করে।
উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী ও মদতদাতাদের শোকজ, দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত বলবৎ আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বন্যার কারণে একটু দেরি হচ্ছে। প্রক্রিয়াটা কোনোভাবেই স্থগিত বা বাদ হচ্ছে না। এটা প্রক্রিয়াধীন আছে, প্রক্রিয়া শেষ হলে আমরা কার্যকর শুরু করবো।
ফেরিঘাটে উপসচিবের গাড়ির জন্য ফেরি আটকে রাখায় এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় সরকারের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় আছেন, তার শাসন আমলে কেউ অন্যায় করে পার পাবেন না। সে যত প্রভাবশালী হোন না কেন, সে যদি আমাদের দলের হয় বা সরকারের হোক। প্রত্যেকটা বিষয়ের তদন্ত হচ্ছে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি অন্যায় করেন, তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।